কক্সবাজার টিউটোরিয়াল ডট টিকে::..জেলার সর্ব প্রথম টিউটোরিয়াল ব্লগ । ক'জন তরুন নিয়ে আমাদের এই ব্লগটির সুচনা ।প্রতিদিনের আপডেট পেতে হলে ব্রাউজ করুন WWW.COXSBAZARTUTORIAL.TK | বিশ্বের টপ টেন নেটবুক! ফেইসবুকের প্রাইভেসিতে পরিবর্তন আসছে আগামী সপ্তাহেই

Wednesday, December 14, 2011

ইন্টারনেট থেকে আয় করে শীর্ষ ধনী

Cox's bazarTutorial:


ব্যাকবেঞ্চার স্কট ওয়েইনার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি কিংবা নামিদামি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, অথচ চৌকাঠ পেরোননি বড় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। হয়তো মনও বসেনি প্রথাগত পাঠে। সৃজনশীলতা ঢেলে হয়েছেন দুনিয়াজোড়া খ্যাতিমান।বছর তিনেক আগে স্কট ওয়েইনারকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ১৭ বছর বয়সেই আপনি প্রায় আট বিলিয়ন ডলার কামালেন! এর ফর্মুলা কী? প্রথমে রসিকতা করেছিলেন- ওই পয়সা তো আমার নয়, মায়ের। আমি এখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক।
পরে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বললেন, ৯৯ শতাংশ ব্রেন আর ১ শতাংশ পরিশ্রম। কথাবার্তায় একটু যেন বয়স্ক লাগে আপনাকে- প্রশ্ন করা হয় তাকে। গম্ভীর মুখে জবাব দেন, সম্ভবত শৈশবটা অমসৃণ হওয়ায়ই ইঁচড়ে পেকেছি আমি।
স্কটের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে। বাবা পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। মা গৃহিণী। স্ত্রীর প্রতি অবিশ্বস্ত ছিলেন বাবা। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ডিভোর্স দেন স্ত্রী। স্কটের বয়স তখন এক বছরও নয়। ছেলেসহ স্বামীর অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়েন তিনি। বান্ধবীর কাছ থেকে ধার নিয়ে ভাড়া করেন ছোট কটেজ। দুজনের ভরণ-পোষণের পয়সাটা মামলা করে আদায় করতে পারতেন স্কটের মা। তার আত্মমর্যাদাবোধ ছিল প্রবল। স্বামীর পয়সা না নিয়ে খুঁজতে থাকেন চাকরি। নিজেদের থাকা-খাওয়ার ব্যাপার রয়েছে; তার ওপর দরকার স্কটের সার্বক্ষণিক পরিচর্যা। এরই মধ্যে একদিন ঘটতেই যাচ্ছিল দুর্ঘটনা। হামাগুড়ি দিতে দিতে ঠাণ্ডা পানিভর্তি বাথটাবে পড়ে যায় স্কট। সেদিন মা তাড়াতাড়ি অফিস থেকে না ফিরলে নিউমোনিয়াই হয়ে যেত ছেলেটার। এ অবস্থায় স্কটকে দেয়া হয় ডে কেয়ার সেন্টারে। অন্য শিশুদের সঙ্গে সেখানেই বেড়ে উঠছিল সে। মাথার ওপর অভিভাবক না থাকলে যা হয়- ক্রমে স্কটের অবস্থা দাঁড়ায় তা-ই। ছিন্নমূল শিশুরা ছিল তার বন্ধু। মা জানতেন না এটি। একবার তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন স্কট। বুভুক্ষু ওই শিশুরা সাফ করে দেয় ফ্রিজভর্তি খাবার। এদের সঙ্গে মিশলে ভবিষ্যত্ কী হবে, তা ভেবে তিনি স্কটকে ভর্তি করিয়ে দেন বোর্ডিং স্কুলে। বাজে সময় না কাটিয়ে কম্পিউটার চালানো শিখুক; আখেরে চাকরি করে অন্তত খেতে পারবে- এ চিন্তা থেকে নিজের অলঙ্কার মর্টগেজ রেখে স্কটকে কম্পিউটার কিনে দেন মা। স্কুলের আবাসিক কক্ষে ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না; ছিল আবাসিক শিক্ষকের কক্ষে। এক রাতে কয়েক ঘণ্টা পরিশ্রম করে সেটি থেকে নিজের কম্পিউটারে গোপনে প্যারালাল লাইন টানেন স্কট। ক্রমে আগ্রহী হন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও প্রোগ্রামিংয়ে। ১৬ বছরে তৈরি করেন সিসঅপট, এরপর রিসেলাররেটিং; সবশেষে আর্থওয়েব ডটকম। এ সাইটগুলোয় দেয়া বিজ্ঞাপন থেকে প্রচুর উপার্জন করতেন তিনি। শুরুতে আয় হয় ২০ লাখ ডলার। এটা পেয়ে প্রথমেই মায়ের মর্টগেজের অর্থ শোধ করেন; হেঁটে যেন অফিস যেতে না হয়, সে জন্য তাকে কিনে দেন গাড়ি। স্কট সাড়ে ৪০ লাখ ডলার আয় করেন দ্বিতীয় বছরে। এ সময় চিন্তা ঢুকল মাথায়- পড়াশোনা করছি কেন? উপার্জনের জন্যই তো! পয়সা তো আসছেই, তাহলে লেখাপড়ার দরকার কী? ব্যস, স্কট ওয়েইনার হয়ে গেলেন ব্যাকবেঞ্চার।

0 comments:

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites