কক্সবাজার টিউটোরিয়াল ডট টিকে::..জেলার সর্ব প্রথম টিউটোরিয়াল ব্লগ । ক'জন তরুন নিয়ে আমাদের এই ব্লগটির সুচনা ।প্রতিদিনের আপডেট পেতে হলে ব্রাউজ করুন WWW.COXSBAZARTUTORIAL.TK | বিশ্বের টপ টেন নেটবুক! ফেইসবুকের প্রাইভেসিতে পরিবর্তন আসছে আগামী সপ্তাহেই

Wednesday, August 17, 2011

থ্রিজি বদলে দেবে আমাদের দেশ । তাই আসলেই হবে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ!!!

Cox's bazarTutorial:
মোঃশাহজাহান সিরাজ : সম্ভবত বাংলাদেশ সরকারের ”ডিজিটাল বাংলাদেশ” স্বপ্নপূরনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্তটি হচ্ছে থ্রি জি(থার্ড জেনারেশন) লাইসেন্স উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে প্রদানের সিদ্ধান্ত।আসলে কি ঘটবে যখন থ্রিজি আসবে?আসুন আমরা দেখে নেই আসলে এই থ্রিজি প্রযুক্তিটি কি এবং আমরা কিভাবে আশা করতে পারি যে এটি আমাদের জীবনকে বদলে দেবে।
বর্তমানে আমরা জিপিআরএস(জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস টেকনোলোজির) বা ইডিজিই(ইনহ্যান্স ডাটা জিএসএম এনভায়রনমেন্ট) এর মাধ্যমে আমাদের মোবাইলে পরিমিত গতির ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে থাকি।থ্রিজি হল আইটিইউ(ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন) স্বীকৃত এমন একটি থার্ড জেনারেশন মোবাইল কমিউনিকেশন প্রযুক্তি যার মাধ্যমে থ্রিজি সম্পন মোবাইল ফোন বা মডেমের মাধ্যমে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া হয়।
যদিও আইটিইউ এই থ্রিজি প্রযুক্তির সুস্পষ্ট ডাটা রেট নির্ধারন করে দেয় নি তবে সাধারনত স্থির ও অল্পগতিতে চলমান ব্যবহারকারী ২ মেগাবিট/সেকেন্ড স্পীড পায় এবং দ্রুত চলমান কোনো যানবহনে পায় ৩৪৮ কিলোবিট /সেকেন্ড।

তবে থ্রিজি বর্তমানে অত্যাধুনিক কিছু প্রযুক্তি যেমন এইচএসপিএ(হাই স্পিড প্যাকেট এক্সেস) এর মাধ্যমে আরও বেশি গতি এর ব্যবহারকারীকে দিয়ে থাকে।এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১৪ মেগাবিট/সেকেন্ড ডাউনলোড স্পীডও পাওয়া সম্ভব।আশার কথা হল খুব স
ম্ভবত বাংলাদেশে এই প্রযুক্তিটাই চালু হতে যাচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশই উপভোগ করছে এলটিই(লং টার্ম এভোলিউশন) প্রযুক্তি যার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০০ মেগাবিট/সেকেন্ড স্পীড পাওয়া যায় এবং এর আপলিঙ্ক হল ৫০ মেগাবিট/সেকেন্ড।
থ্রিজি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা কোনো তথ্য এখনকার চেয়ে কয়েকগুন তাড়াতাড়ি প্রেরন ও গ্রহন করতে পারবো।এটাই সর্বাধুনিক মোবাইল প্রযুক্তি এবং বিশ্বের মোবাইল ইউনিট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতবর্ধমান।এর পূর্ববর্তী যে কোনো মোবাইল প্রযুক্তির চেয়ে এটি সবচেয়ে বেশি গতি সম্পন্ন।
দেশে বর্তমানে অনেকে স্মার্টফোন ব্যবহার করলেও ইন্টারনেট স্পীডের কারনে এর সব ফিচারের ব্যবহার অসম্ভব।থ্রিজি প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।থ্রিজি আসার ফলে যে সুবিধাগুলো পাওয়া সম্ভব হবে তা হল ভিডিও কলিং-কনফারেন্সিং,টেলি-মেডিসিন,লোকেশন বেইসড সার্ভিস,ভিডিও অন ডিমান্ড এবং অবশ্যই মোবাইল টিভি।
থ্রিজি প্রযুক্তি দেশে টেলি-মেডিসিন সেবার উদ্ভব ঘটাবে যার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা পৌছানো সম্ভব হবে।২০০৭ সালে এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেড ঢাকায় একটি পাইলট প্রজেক্ট এর মাধ্যমে প্রমান করেছিল দেশে টেলি-মেডিসিন সুবিধা কতটা গুরুত্বপূর্ন।অবশেষে আমরা এই সুবিধা পেতে যাচ্ছি।মাল্টিমিডিয়া কলিং এর সুবিধা প্রথমবারের মত পেতে যাচ্ছি আমরা এই প্যাকেট-বেসড প্রযুক্তির মাধ্যমে,যা আগে কল্পনা করাও কষ্টকর ছিল।
বানিজ্যিকভাবে থ্রিজি সর্বপ্রথম চালু হয় জাপানে।২০০১ সালে জাপানের এনডিটি ডোকোমো চালু করে ডব্লুউ-সিডিএমএ প্রযুক্তি।ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের মিলিয়ন মিলিয়ন ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে যায় এই থ্রিজি।
আমরা আমাদের বাংলাদেশে থ্রিজি প্রযুক্তি পাওয়ার দাড় প্রান্তে রয়েছি।একমাত্র চিন্তার বিষয় হতে পারে এর জন্য সাধারন ব্যবহারকারীকে কত অর্থ গুনতে হবে।যদি অপারেটরগুলোকে এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য বড় অংক গুনতে হয় তাহলে এই সুবিধাগুলোর মূল্যও বেশ চড়া হবে একথা সহজেই অনুমেয়।

0 comments:

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites