কক্সবাজার টিউটোরিয়াল ডট টিকে::..জেলার সর্ব প্রথম টিউটোরিয়াল ব্লগ । ক'জন তরুন নিয়ে আমাদের এই ব্লগটির সুচনা ।প্রতিদিনের আপডেট পেতে হলে ব্রাউজ করুন WWW.COXSBAZARTUTORIAL.TK | বিশ্বের টপ টেন নেটবুক! ফেইসবুকের প্রাইভেসিতে পরিবর্তন আসছে আগামী সপ্তাহেই

Saturday, August 20, 2011

ধর্মহীন বিজ্ঞান যেমন অন্ধ; বিজ্ঞানহীন ধর্মেরও তেমনি কোন অস্তিত্ব নেই!!!

Cox's bazarTutorial:পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর কিতাব। মানব জাতির প্রতি মহান আল্লাহর সর্বাপেক্ষা বড় দান। প্রথম মানব এবং মানব জাতির আদি পিতা হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত যেসব আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে সে ধারাবাহিকতার সর্বশেষ ও চূড়ান্ত গ্রন্থ পবিত্র কোরআন। এরপর আর কোনো কিতাব অবতীর্ণ হবে না। অবতীর্ণ হওয়ার কোনো প্রয়োজনও দেখা দিবে না।
আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া বা আক্ষরিক জ্ঞানচর্চার সঙ্গে সম্পর্কহীন উম্মী নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উপর পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
এর দ্বারা আল্লাহ তাআলা কেয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে আগত-অনাগত সব জাতি-গোষ্ঠীর মানব সমাজের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে, পবিত্র কোরআন অনন্য এবং এর রহস্যময়তা অনতিক্রম্য। এর বিকল্প সৃষ্টি করা মানবীয় মেধা ও প্রজ্ঞার ক্ষমতাবহির্ভূত। কেয়ামত অবধি মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি যতই অগ্রসর হবে পবিত্র কোরআনের রহস্যাবলীও ততই মানুষের সামনে উন্মুক্ত হতে থাকবে। প্রতিটি প্রজন্মের মানব গোষ্ঠীর সামনে পবিত্র কোরআনের সেসব হরস্যের দ্বার একে একে উন্মুক্ত করার জন্য আল্লাহ তাআলার একদল নিবেদিতপ্রাণ বান্দা নিয়োজিত থাকবেন। এটা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনেরই একটি কুদরতি ব্যবস্থা।
বর্তমান সময় বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগ। তবে বাস্তবে সার্বিক বিচারে আজকের বিজ্ঞান কতটুকুই বা উৎকর্ষতার শিখরে পেঁৗছতে পেরেছে? জোতির্বিজ্ঞান, বিশেষত মহাকাশের অনন্ত রহস্যাবলীর সামান্যই উন্মুক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে যেমন মানবীয় বুদ্ধি-বিবেক থ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, তেমনি দেখা যাচ্ছে আজকের বিজ্ঞানগর্বী মানুষ এ পর্যন্ত যা আবিষ্কার করেছে, যেসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে মানুষ নির্বাক হয়ে গেছে, সেসব জটিল প্রশ্নের জবাব প্রায় দেড় হাজার বছর আগে পবিত্র কোরআনে বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানচর্চায় যারা নিজেদের নিবেদিত করে রেখেছেন তাদের পক্ষে পবিত্র কোরআন পাঠ করা বা কোরআনের প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। অপরদিকে পবিত্র কোআনের তাফসিরের জন্য যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের অধিকাংশই আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে খুব সামান্যই পরিচিতি।
সময়ের প্রবাহে যে বিজ্ঞান হারিয়ে যায় বা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে সে বিজ্ঞানের মানদণ্ডে আমরা অনেকে পবিত্র কোরআনের সত্যতা, সঠিকতার মান যাচাই করতে চেষ্টা করি, এটা মারাত্মক অন্যায়। আমরা যারা অন্যদের পবিত্র কোরআনের সত্যতা বিশ্বাস করাতে প্রয়াস পাই তারা ভাবী, বিজ্ঞানের একটা ভালো তত্ত্বের সঙ্গে কোরআনের কোনো আয়াতের মিল খুঁজে পেলেই ইউরেকা। এটাও কিন্তু মারাত্মক ভুল। কোনরূপ যুক্তি-তর্ক প্রমাণ ছাড়াই পবিত্র কোরআন সত্য_এই বিশ্বাসই থাকতে হবে প্রত্যেক মুমিনের। আমাদের অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, পবিত্র কোরআন আদৌ বিজ্ঞান শেখাতে অবতীর্ণ হয়নি, তদুপরি আধুনিক বিজ্ঞানের যেসব গুরুত্বপূর্ণ সূত্র তত্ত্ব ও বিষয়ে পবিত্র কোরআন ইঙ্গিত করেছে যার ফলে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যে দীপ্তি প্রকাশ পেয়েছে তা আজ বিজ্ঞান মস্তককে অনুভবে ও শ্রদ্ধায় করেছে বিনীত, বিনম্র শির। পবিত্র কোরআনের ছোট একটি আয়াত যে চিরসত্য, অকাট্য তথ্য দিয়েছে তা বিজ্ঞানের বহু তত্ত্বের সমষ্টি। সঠিক বিজ্ঞান বারবার কোরআনের সত্যতাই প্রমাণ করছে। বিজ্ঞান আজ কোরআনের শাশ্বত সত্যের সীমাহীনতায় হারিয়ে যাচ্ছে। ইয়াসীন। শপথ জ্ঞানগর্ভ কোরআনের (ইয়াসিন-১-২) বলুন, তোমরা কোরআনে বিশ্বাস কর আর নাই কর যাদেরকে এর পূর্বে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তাদের কাছে যখন তা পাঠ করা হয় তখনই তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। (বনী ইসরাইল, ১০৭) হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মিরাজকে অবিশ্বাসীদের কাছে কেবলই একটি গল্প বলে মনে হয়েছে। অজুর পানি গড়িয়ে পড়ার সময়ের মধ্যে তিনি সাত আসমান আল্লাহর আরশ ভ্রমণ করেছেন। সেসময় মেরাজের ঘটনাকে বিশ্বাসীগণ বিশ্বাস করেছেন একান্তই ঈমানে-শ্রদ্ধায়। সে সময়ের মানুষ টাইম ডাইলেশন সম্পর্কে কিছুই জানত না। পৃথিবীর প্রযুক্তিতে এখনো সশরীরে এর ক্রিয়াশীলতা আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়নি তথাপি এর ফলাফলে এমন ঘটনা যে সম্ভব তা এখন আমাদের জানা। দুঃখজনক যে, আমরা এ প্রযুক্তির কিছুই অর্জন করতে সক্ষম হইনি। এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যবহারিক জ্ঞান না থাকায় আমাদের চিন্তাশক্তি সীমাবদ্ধতার দোষে দুষ্ট থাকাই স্বাভাবিক।

0 comments:

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites