কক্সবাজার টিউটোরিয়াল ডট টিকে::..জেলার সর্ব প্রথম টিউটোরিয়াল ব্লগ । ক'জন তরুন নিয়ে আমাদের এই ব্লগটির সুচনা ।প্রতিদিনের আপডেট পেতে হলে ব্রাউজ করুন WWW.COXSBAZARTUTORIAL.TK | বিশ্বের টপ টেন নেটবুক! ফেইসবুকের প্রাইভেসিতে পরিবর্তন আসছে আগামী সপ্তাহেই

Monday, August 22, 2011

অ্যান্টিভাইরাস ছাড়াই নিরাপদ কম্পিউাঁর !!

Cox's bazarTutorial:কম্পিউটার ব্যবহার করলে ভাইরাসের মুখোমুখি হওয়া যেন অনিবার্য একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেটের অসীম দুনিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে হাজারও ভাইরাস। কম্পিউটারকে এসব হাজারও ম্যালওয়্যার, অ্যাডওয়্যার, ট্রোজান হর্স থেকে বাঁচাতে প্রতিরোধক এবং প্রতিষেধক হিসেবে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করার কথা বলে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক বিষয়ক প্রতিটি সিকিউরিটি ফার্মই। কিন্তু অ্যান্টিভাইরাস না নিয়েও কম্পিউটার নিরাপদ রাখা সম্ভব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন,সোহেল রানা


ভাইরাস কতটুকু ক্ষতি করে?
ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম। এটি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়ায়। এটি কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়, অনেক প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার নষ্ট করে ফেলে, কম্পিউটারে কাজ করতে সমস্যা সৃষ্টি করে, ভুল ইনফরমেশন দেয়। তবে খুশির সংবাদ হলো, ভাইরাস কম্পিউটারে থাকলেই ক্ষতি করে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তা চালানো (রান) হয়। অর্থাত্ ভাইরাস দিনের পর দিন কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংগ্রহ করে কম্পিউটারে জমা করে রাখেন। ভাইরাসযুক্ত ফাইলকে আপনি কপি, কাট, ডিলিট ইত্যাদি করতে পারবেন, এতে আপনার কম্পিউটারের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু সমস্যা হলো, ভাইরাসযুক্ত ফাইলকে আপনি কখনও দুই ক্লিক করতে পারবেন না বা ভাইরাসযুক্ত ফাইলের ওপর মাউস রেখে কখনও ডান বাটনে ক্লিক করে ওপেনে ক্লিক করবেন না। যদি কখনও ভুলবশত ভাইরাসযুক্ত ফাইলে ডবল ক্লিক করে ফেলেন বা ভাইরাসে আপনার কম্পিউটার আক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনার কম্পিউটারের সি ড্রাইভ থেকে প্রয়োজনীয় সব ফাইল সরিয়ে আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দিয়ে দিন। তাহলে দেখবেন সব সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।
কম্পিউটার থাকলে ভাইরাস থাকবেই এবং ভাইরাস মাঝেমধ্যে কম্পিউটারে আক্রমণ করবেই, এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সব সময় লেটেস্ট অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন এবং কয়েক দিন পরপর তা হালনাগাদ করবেন,

যাতে কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ করতে না পারে। একবার ভাইরাস আক্রমণ করে ফেললে তার সমাধান একটাই। আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেয়া। ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়ায় পেনড্রাইভের মাধ্যমে। তাই পেনড্রাইভ ব্যবহারে সতর্ক হোন।

অ্যান্টিভাইরাস ছাড়া নিরাপদ রাখা সম্ভব?
কম্পিউটারকে হাজারও ম্যালওয়্যার, অ্যাডওয়্যার, ট্রোজান হর্স থেকে বাঁচাতে প্রতিরোধক এবং প্রতিষেধক হিসেবে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করার কথা বলে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক বিষয়ক সিকিউরিটি ফার্মগ্রলো। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মানুষের বেলায় ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম’ বলে যেমন একটি কথা রয়েছে, তেমনি একই কথা কি কম্পিউটারের বেলায়ও খাটে? ওষুধ না খেয়েও যেমন আমরা সুস্থ থাকতে পারি, কম্পিউটারকেও কি অ্যান্টিভাইরাস ছাড়া আদৌ নিরাপদ রাখা সম্ভব? অনেকেই অ্যান্টিভাইরাস পছন্দ করেন না। এটি পছন্দ না করারও সঙ্গত কারণ রয়েছে। অ্যান্টিভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে—এটি কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। কারণ ছাড়াই ভাইরাস অ্যালার্ট, আর বারবার স্ট্যাটাস পপ-আপ দিয়ে বিরক্তও কম করে না।

অ্যান্টিভাইরাস ছাড়াই কম্পিউটার নিরাপদ
সচেতন থাকলে অ্যান্টিভাইরাস ছাড়াই কম্পিউটার নিরাপদ রাখা সম্ভব। ভাইরাস ও স্ক্রাইওয়্যার থেকে আপনার কম্পিউটারকে মুক্ত রাখতে আপনাকে নিচের নির্দেশনাগুলো আত্মস্থ করতে হবে এবং মেনে চলতে হবে। আসুন জেনে নেই এই বিষয়গ্রলোর বিস্তারিত।

ব্যবহার করুন আসল সফটওয়্যার
আপনার পিসিতে যদি কোনো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল না থাকে তবে পিসি যে স্ট্যান্ডার্ড মানের ও আসল সফটওয়্যার দিয়ে চলছে এ বিষয়টি নিশ্চিত করুন। ধরা যাক, আপনি কোনো নিকটজনের থেকে কোনো ফাইল শেয়ার করেছেন অথবা কোনো শেয়ারওয়্যার বা ফ্রিওয়্যার সাইট থেকে আপনার দরকারী কিছু ডাউনলোড করছেন। এখন অ্যান্টিভাইরাস কার্যকর থাকলে খুব সহজেই ডাউনলোড করা ডাটাগ্রলো স্ক্যান করে সেগুলোতে ভাইরাসের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারতেন। কিন্তুঅ্যান্টিভাইরাস ছাড়া বুঝতেই পারবেন না কোনো ফাইল বা ডকুমেন্টে ভাইরাস আছে কিনা। সুতরাং, নিরাপত্তার সঙ্গে অবশ্যই বিশ্বস্ত যে সাইট বা শেয়ারওয়ারগুলো আছে তাতে ব্রাউজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশ এভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং বিশ্বাস রাখুন, আপনিও পারবেন!

ডাউনলোড বিষয়ে সচেতনতা
যদি কেউ শুধু কমার্শিয়াল সফটওয়্যার ব্যবহার করেন এবং কখনও ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা সফটওয়্যার ইনস্টল না করেন তবে ভাইরাসের শঙ্কা কম। কোনো ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা প্রোগ্রাম ইনস্টল করলেও ভাইরাস দেখা দিতে পারে। আর কম্পিউটারে অন্য কোনো ডিভাইস যেমন—সিডি রম, আলাদা হার্ডডিস্ক এবং বিশেষ করে পেনড্রাইভের মাধ্যমে ফাইল আদান-প্রদানে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আর এগুলো না করা হলে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পথ খোলা থাকে কেবল ওয়েবসাইট এবং ই-মেইলের মাধ্যমে। আর অ্যান্টিভাইরাসের ঝামেলা এড়িয়ে ভাইরাসমুক্ত থাকতে বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দেন কমন সেন্সের বিষয়টি।
ডাউনলোডে সতর্ক থাকুন
অন্যদিকে ইন্টারনেট থেকে ফ্যি ডাউনলোডে আসক্ত হলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। বিভিন্ন লোভনীয় এবং চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সেখানে ঢুকলেই সর্বনাশ। বলা হয়ে থাকে এগুলো হলো ‘ভাইরাসের আখড়া’। যেসব শেয়ারিং এবং ওয়ারেজ সাইট বিনামূল্যে কমার্শিয়াল সফটওয়্যার বা অ্যান্টিভাইরাসের ডাইনলোড করতে বলে সেগুলো আসলে সফটওয়্যারের ছদ্মবেশে ভাইরাস। এছাড়াও বিভিন্ন পর্নো সাইট ও ম্যালওয়্যারভিত্তিক অজানা সাইটগুলোও ভাইরাসের খনি। এগুলোতে ঘোরাঘুরির অভ্যাস থাকলে অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করার বিকল্প নেই। যারা এসব সাইটে যান না তারা স্রেফ কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করলেই অ্যান্টিভাইরাস ছাড়াও নিরাপদ থাকতে পারবেন। তাই ডাউনলোড বিষয়ে একটু সাবধান হোন।

বিল্টইন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করুন
উইন্ডোজ কিংবা অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমে অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো এখন পর্যন্ত বিল্ট-ইন ফিচার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি কিন্তু পিসি ব্যবহারকারীরা নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সঙ্গত কারণেই অনেক বেশি ভাবছেন। আপনার পিসিতে খুঁজে পেতে দেখুন, কিছু মেলওয়্যার প্রকেটশন পাবেন যা দিয়ে হয়তো কিছু প্রয়োজন মিটতে পারে।
কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় যখন অপারেটিং সিস্টেমের লোড নিতে থাকে, তখন আপনার সিস্টেম হার্ডওয়্যার অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার জন্য অপারেটিং সিস্টেম আপনার ‘সিস্টেম বায়োস’-এ পাওয়া কোডটি ব্যবহার করে। বেশিরভাগ পিসিতেই ‘সিস্টেম বায়োস’-এর ব্যবহার ছাড়া এফ২ এবং ডেল প্রেস করে বুটআপের সময় অ্যাকসেস করার ব্যবস্থা আছে, যা বুট সেক্টরের প্রতিরক্ষামূলক একটি ব্যবস্থা এবং আপনি ইচ্ছা করলে এটি অনুসরণ করতে পারেন। এই ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আপনি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইনস্টল না করেও যে ভাইরাসগুলো আপনার বুট সেক্টরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, সেগুলো থেকে রক্ষা পাবেন।

মেইল আদান-প্রদান করুন সতর্কতার সঙ্গে
অপরিচিত কোনো উত্স থেকে পাঠানো ই-মেইল, যেগুলোতে অ্যাটাচেমন্ট হিসেবে কিছু আছে এমন কোনো মেইল ওপেন করবেন না। পারলে এগুলো ডিলিট করে ফেলুন। মাঝে মধ্যে ওয়ার্ড ডকুমেন্টের মাধ্যমেও ভাইরাস আপনার পিসিতে আক্রমণ করতে পারে। সুতরাং, এমন কোনো মেইলিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করুন, যেটার বিল্টইন হিসেবে স্প্যাম চেকার দেয়া আছে। এভাবেই আপনি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ছাড়া ভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
আজকাল প্রায় প্রতিটা ব্রাউজারেই প্রয়োজনীয়তা অনুসারে এন্টি-ফিশিং ফিল্টার কিংবা বিপজ্জনক ওয়েবসাইট, যেগুলোতে ভাইরাস থাকতে পারে, সেগুলোর লিস্ট সরবরাহ করা হয়। ব্রাউজার থেকে এই ফিচারগুলো ব্যবহার করুন, এতে আশা করা যায় অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামও ব্যবহার করতে হবে না এবং কাজকর্মও স্থবির হবে না। মনে রাখুন, অ্যান্টিভাইরাস ছাড়া পিসি চালাতে গেলে পরে আপনার বিচারবুদ্ধিই হবে আপনার সবচেয়ে বড় অবলম্বন। এর ওপর আস্থা রাখুন!

পপ আপ রিমুভার
‘পপআপ’ ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়গুলোর একটি। মনোযোগ দিয়ে কোনো ওয়েবপেজ ব্রাউজ করছেন তখন অনাকাঙ্ক্ষিত এড্রেসবিহীন কিছু পেজ বারবার এসে সাধারণ কাজকে যেমন ব্যাহত করে তেমনি বিজ্ঞাপন দেখায় কিছু পণ্যের কিংবা লটারির। এসব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়া সাইট। পপআপমুক্ত পিসি পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই পপআপ প্রটেকশন সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। মোজিলা ফায়ারফক্সসহ বেশ কয়েকটি ব্রাউজারের সঙ্গেই দেয়া থাকে পপআপ ব্লক করার উপায়। এ ছাড়াও ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায় পপআপ প্রটেকশনসহ টুলবার। এক্ষেত্রে গুগলের ফ্রি টুলবারটি যে কোনো ব্যবহারকারীর জন্য ভালো সমাধান হতে পারে।

ব্রাউজারের আপগ্রেড
এখনকার অধিকাংশ ব্রাউজারের সিকিউরিটি কন্ট্রোল আছে। ডাউনলোড করার সময়ই এসব ব্রাউজার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাইরাস আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়। অ্যান্টিভাইরাস বিভিন্ন টুল যোগ হওয়াতে এসব ব্রাউজার নিজেই অনেক ভাইরাস প্রবেশে বাধা দেয়। এজন্যই ভালো ব্রাউজারে ভাইরাস আক্রমণের হার অনেক কম। তাই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ঝামেলা এড়াতে ব্রাউজারের সর্বশেষ সংস্করণটিই ব্যবহার করা শ্রেয়। এক্ষেত্রে ফায়ারফক্স, ক্রোম বা সাফারি ব্যবহারেও আপনি ব্রাউজারটি আপডেট করে নিতে পারবেন। কখনও জেনেশুনেও যদি ক্ষতিকর কোনো সাইট খুলতে চান সেক্ষেত্রেও প্রচলিত অনেক ওয়েব ব্রাউজারই স্ক্রিনে সেটি দেখানোর আগেই সতর্ক করে দেবে। সার্ফিং করার সময় আরও বেশি নিরাপত্তা অনুভব করতে ম্যাকাফি সাইট অ্যাডভাইজার টুল (http://www.siteadvisor.com) ব্যবহার করা যেতে পারে। এই টুল সার্চ রেজালেল্টর সঙ্গে ক্ষুদ্র সাইট রেটিং আইকন দেখায় এবং ব্রাউজারে একটি নতুন ব্রাউজার বাটন ও অপশনাল সার্চ বক্স অপশন যোগ করে। এই দুটি অপশন একত্রে ভালো কাজ করে। কোনো বিপজ্জনক সাইটে ঢোকার আগে সতর্ক করে দেয়।

মেইল পরিষ্কার করা
সামান্য একটা মেইলেই ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে। মেইলে কোনো নির্দেশ দেয়া থাকে যা অনুসরণ করলেই চলে আসবে ভয়ঙ্কর সব কম্পিউটার ভাইরাস। স্প্যাম হলো অদরকারি নানা রকম ই-মেইল। আর এসব মেইলের ছদ্মবেশে আসে ভাইরাস। সে কারণেই অপ্রয়োজনীয় বা অচেনা প্রেরকের মেইল ওপেন না করে বরং ডিলিট করে ফেলাই ভালো। মেইল সার্ভিসের স্প্যাম গার্ড প্রোটেকশন এনাবল করে রাখুন। এতে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়। এ সুযোগটি ইয়াহু, এমএসএনসহ অনেক ওয়েব মেইলেই পাওয়া যায়। নিশ্চিত না হয়ে বাল্ক (BULK) মেইল ওপেন করার কৌতূহল ঝেড়ে ফেলুন। স্প্যাম একবার পিসিতে ছড়িয়ে গেলে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। আর অনাকাঙ্ক্ষিত মেইলের হাত থেকে বাঁচতে যত্রতত্র কোনো সাইটে ই-মেইল এড্রেস দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
এছাড়াও আরও একটি উপায় আছে, সেটি হলো মেইলে সিকিউরিটি লেভেল যোগ করা। এজন্য ইমেইল প্রোগ্রামটিকে কনফিগার করা লাগবে। এতে ইনকামিং মেসেজগুলো পেল্লইন টেক্সট আকারে দেখা যাবে। এসব করলে গ্রাফিক্স ডিসপ্লে বন্ধ হয়ে যাবে, ফলে যখন ক্লিক করা হবে তখন ভাইরাস প্রোগ্রাম কাজ করবে না।

সপাইওয়্যার
আমরা অনেকেই স্পাইওয়্যারের কথা জানি না। এরা মূলত ওয়েব পেজের সঙ্গে পিসিতে ছড়ায়। মাইক্রোসফট করপোরেশনের ওয়েবসাইটে www.microsoft.com থেকে স্পাইওয়্যার রিমুভার সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া www.download.com থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্পাইওয়্যার রিমুভার সফটওয়্যার সংগ্রহ করে ইনস্টল করে সাপ্তাহিকভাবে রান করান। স্ক্যান শেষে ফাইল বা প্রোগ্রাম এররগুলো সারিয়েও নেয়া যায়।

পিরিয়ডিক স্ক্যান
কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল ছাড়াও পিরিয়ডিক এই স্ক্যান করতে অনলাইন ফ্রি ভাইরাস স্ক্যানার ব্যবহার করা যায়। এরকম অনলাইনে ফ্রি স্ক্যানার পাওয়া যাবে নানা ওয়েব সাইটেই, তবে নিচের এই তিনটি সাইট নির্ভরযোগ্য।
www.eset.com/online-scanner, onlinescan.avast.com, Ges housecall.trendmicro.com
কোনো অ্যান্টিভাইরাস প্যাকেজ ইনস্টল ছাড়াই সিস্টেম স্ক্যান করার সুযোগ আছে এই অনলাইন স্ক্যানারগুলোতে।


সুত্রঃ আমারদেশ অনলাইন ডট কম

1 comments:

Been using AVG protection for many years now, I recommend this product to everyone.

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites